
ঘরবন্দি এই সময়ে মর্নিং বিডির সাথে কথা বলেছিলেন জনপ্রিয় পরিচালক মাবরুর রশিদ বান্নাহ। সাক্ষাৎকার টি তুলে ধরেছেন ফাহাদ আল মুক্তাদির
১. কেমন আছেন? এবং ঈদের এই সময়টা কেমন কাটালেন?
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।করোনার এই সময়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ আছি, ভালো আছি এটাই তো অনেক।ঈদের এই সময়টা ফ্যামিলির সাথে কাটালাম। বাবা-মা,স্ত্রী,ছোটভাই সবার সাথে কাটিয়েছি ঈদের দিন। সব মিলিয়ে আল্লাহ তা’লার অশেষ রহমতে বেশ ভালোই কেটেছে।
২. এই ঈদে এখন পর্যন্ত আপনার কতটি নাটক মুক্তি পেয়েছে? সামনে কি কি আসছে??
আজ ঈদের ৪র্থ দিন ইতোমধ্যে টিভিতে মুক্তি পেয়েছে এঞ্জেলস ও আই লাভ ইউ।ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম মুক্তি পেয়েছে ভিউ বাবা।অনলাইনে মুক্তির অপেক্ষায় আছে এঞ্জেলস যা ঈদের ৪র্থ দিন মুক্তি পাচ্ছে। এছাড়া আই লাভ ইউ, ভালোবাসার গল্প ঈদের পঞ্চম দিন মুক্তি পাবে।আর প্রপোজ
ঈদের ৭ম দিন রিলিজ পাচ্ছে অনলাইনে।
৩. আপনার সদ্যমুক্তি প্রাপ্ত নাটক ‘ভিউ বাবা’ তে হুমায়ূন সাধু শেষবারের মতো কাজ করেছেন তাকে নিয়ে কোন আলাদা স্মৃতি আছে কি?
হ্যা সাধু ভাইকে নিয়ে আমার অসংখ্য মধুর স্মৃতি আছে যা আসলে বলে শেষ করা যাবে না।সহজ কথায় বলতে গেলে সাধু ভাই আমার খুব কাছের একজন বড় ভাই। যাকে আমি অনেক বেশী শ্রদ্ধা করতাম,ভালোবাসতাম।এই মানুষটার সাথে আমার খুব বেশী কাজ হয় নাই কিন্তু যে কয়টা কাজ হয়েছে তাতে আমার সাথে উনার অনেক আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল।আমি সাধু ভাইকে ভাইয়ের দাবী থেকে অনেককথা অকপটে বলতে পেরেছি।উনি আমার কাজের প্রতিক্রিয়া জানাতেন।আমার এখনো মনে আছে আমার কোন কাজ ভালো হলে উনি সাথে সাথে আমাকে ফোন দিয়ে বলতেন ‘বান্নাহ তুমি তো ফাটায়া দিলা মিয়া’ আর সাধু ভাইয়ের খারাপ লাগলেও তিনি সমালোচনা করতে ছাড়তেন না। তখন ফোন দিয়ে বলতেন ‘এইটা কি করলা মিয়া’।
আমি বলবো তিনি ছিলেন আমার কাজের গুণী সমালোচক। সবাই একজন পরিচালক এবং অভিনেতা হুমায়ূন সাধু হারালেও আমি একজন বড়ভাই, ভালো মানুষ হারিয়েছি।
৪. ‘ভিউ বাবা’ তে আপনি দেখিয়েছেন যারা নাটক বানায় সবাই ভিউ এর পেছনে ছুটে। আপনি কি তাদের থেকে আলাদা।বিষয়টি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
আসলে আমি একটু ক্লিয়ার করতে চাই আমি ‘ভিউ বাবা’তে কখনো বলি নি যে যারা নাটক বানায় সবাই ভিউ এর পেছনে ছুটে। তবে হ্যা বর্তমান ট্রেন্ডিং অবস্থা টাই এমন হয়ে গেছে অনেকে ভিউ এর পেছনে ছুটছে।আমাদের দর্শকরা এই প্রশ্নের উত্তরটি ভালো করে জানে কারা ভিউয়ের পেছনে দৌড়াচ্ছে। আমি শুধু আমার দায়বদ্ধতা থেকে ‘ভিউ বাবা’ নির্মান করেছি। এখানে আমি একজন পরিচালক একজন গল্পকার হিসাবে আমার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে নানান জিনিস ব্যাখ্যা করেছি। আমি কাউকে সুনির্দিষ্ট হিসেবে ভালো বা খারাপ বলতে চাই নি। কাউকে ভালো বা খারাপ বলার দায়িত্ব ও আমার নয়।
আসলে ‘ভিউ বাবা’ বানিয়ে আমি নিজেকে ভালো হিসেবে জাহির করতে চাই নি।আমি যে খুব আলাদা তেমনটি কিন্তু নয়। এখানে একজন পরিচালক হিসেবে আমি আমার ভুল-ত্রুটি নিয়ে কথা বলেছি। নিজের সমালোচনাও করতেও এক চুল ছাড়ি নি। আমি মনে করি নিজের সমালোচনা করতে সাহসের প্রয়োজন। ‘ভিউ বাবা’ নাটকে অনেকেই বর্তমানে যারা কাজ করছেন কিংবা বানাচ্ছেন তাদেরকে কানেক্ট করার চেষ্টা করছেন। আমি বলবো যারা করছেন এটি ব্যাক্তিগত তাদের মতামত। আমি আমার জায়গা থেকে প্রচন্ড সৎভাবে গল্পটি বলতে চেয়েছি। ব্যাস এর কিছু নয়!
৫. এই ঈদে মুক্তি পাচ্ছে আপনার আরেকটি নাটক ‘প্রপোজ’ সেখানে প্রত্যয় হিরনকে দেখা যাচ্ছে লিড রোল হিসেবে। একজন পরিচালক হিসাবে অভিনয় দিয়ে আপনার প্রত্যাশার পারদ কি পূরণ করতে পেরেছে এই অভিনেতা?
দেখুন এই প্রশ্নটার উত্তরটা দিতে গিয়ে আমি আমার প্রথম নাটক ‘ফ্ল্যাশব্যাকে’র কথা বলতে চাই।সেখানে ৫ জন ছিল নতুন আর্টিস্ট। দর্শক প্রিয় আমার যেসব সিরিয়াল যেমন নাইন এন্ড হাফ,হাউজ44, সেখানে দেখবেন আমি সবসময় নতুন আর্টিস্টদের নিয়ে কাজ করেছি। একদম ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমি নতুনদের নিয়ে কাজ করেছি। আমি সবসময় চেয়েছি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনদের সুযোগ করে দিতে। কতটুকু পেরেছি কি পারে নি সেটা আমাদের দর্শকরাই ভালো বলতে পারবে।
হ্যা প্রত্যয়ের ব্যাপারটা নিয়ে অনেকে আমাকে নানান ভাবে প্রশ্ন করছেন।অনেক পত্রপত্রিকায় নানান জায়গায় লিখছে ইদানীং। অনেকে এই বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছেন আবার অনেকে খুব নেতিবাচকভাবে লিখেছেন। আমি বলনো প্রত্যয় নতুন একজন অভিনেতা। ছেলেটা ইউটিউবার হিসেবে অনেকদিন হলেও নাটকের ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছে বছর ও হয় নি। বলতে গেলে শুরু করেছে মাত্র। এত অল্প সময়ের ভিতর আমরা কিভাবে ঠিক করে ফেলবো ও অভিনেতা হিসাবে ভালো কি খারাপ? বর্তমানে যারা অভিনয় করছেন সবাই কি প্রথমেই শতভাগ দর্শক জনপ্রিয়তা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিল। সবাইকে কি সব দর্শক সমানভাবে নিচ্ছে? আমার উত্তর হল নিচ্ছে না। সুতরাং প্রত্যয়কে দিয়ে আমি যেসব গল্প বলাতে চেয়েছি আমি মনে করি প্রত্যয় নতুন হিসাবে আমাকে হতাশ করে নি।সে তার যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।

৬. লোকে বলে প্রত্যয় হিরন ইউটিউবার হিসেবে সফল হলেও অভিনেতা হিসেবে ততটা সফল নয়।তবে কি পরিচালক বান্নাহ ভিউয়ের ফাঁদে পা রেখে ইউটিউবার প্রত্যয় হিরনকে বেছে নিয়েছে?নাকি অন্য কোন পরিকল্পনা?
দেখুন আমি প্রত্যয়কে নিয়ে আপনার আগের প্রশ্নে সবকিছুর জবাব দিয়ে ফেলেছি।তবুও বলবো এখন যারা বলে প্রত্যয় অভিনেতা হিসেবে ততটা সফল না তারা আসলে এই কথাটা কোন দৃষ্টিকোন থেকে বলছে আমি জানি না। তারা এই প্রশ্ন কোন যুক্তিতে করেছে তাও আমার বোধগম্য নয়। হ্যা ভিউজের কথা বলতে গেলে প্রত্যয়ের যথেষ্ট ভিউজ আছে। সেটা তার যোগ্যতা। মানুষ তাকে ভালোবাসে বলে তাকে দেখে। দর্শকের ভালোবাসা না পেলে তো প্রত্যয় সৃষ্টি হতো না। দর্শক যা দেখতে চায় একজন পরিচালকের উচিত তাই দেখানো। বুঝাতে পারলাম তো?(খানিকটা হেসে)
শুনুন আমাদের দর্শকদের মধ্যে দুটো শ্রেণী একদল যারা পরিবর্তন মেনে নেয় আরেকদল আছেন যারা পরিবর্তন বা নতুনদের দেখলে মেনে নিতে পারেন না। যারা এই নতুনদের মেনে নিতে পারছেন না বলে দু:খ প্রকাশ করছেন।এই শ্রেণী প্রথমে কখনোই নতুনদের মেনে নেয় না।পরবর্তী এরাই যখন ভালো ভালো কাজ করে হিট হয় তখন আমাদের এই শ্রেণীর দর্শকরাই ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর এরাই একটা সময় আমাকে নাম ধরে ধরে বলেছে, ভাই অমুকরে কেন নেন।ও দেখতে কালো,বেটে,ঠিকমতো কথা বলতে পারে না। দেখতে মেয়েদের মতো।এসব বলে বডি শেমিং করেছে।আর এরাই এখন এসব অভিনেতাদের নামে নানান রকম ফ্যান গ্রুপ খুলছে।দর্শক নামধারী এরা হচ্ছে হিপোক্রেট। এদের মুখে এক আর অন্তরে অন্তরে আরেক।
৭. মোশারফ করিম কে নিয়ে আপনি সম্পূর্ন ভিন্ন ধর্মী কাজ করেছেন সম্প্রতি।সবাই যে ধরনের গল্পে কাজ করেছে তাকে নিয়ে আপনি তা করেন নি। বরং হেঁটেছেন উলটো পথে।এটা কেন?
আমি একটা কথা সবসময় বলি আজকেও বলছি আমি সবার নির্মাতা। আমি সবার জন্যে নাটক বানাই।গ্রামে যে মানুষটা আছে তার জন্যে যেমন শহরে কর্পোরেট শ্রেনী আছে তাদের জন্যে বানাই। আমি শ্রেণী, পেশা, ধর্ম, বর্ন উঁচু-নিচু সকল শ্রেণীর মানুষের জন্যে নির্মান করি। সুতরাং আমি সব ধরনের গল্প বলতে কমফোর্ট ফিল করি। কে কি ধরনের জনরা নিয়ে কাজ করছে সেটা থেকে আমি আমার গল্প বলাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
মোশারফ করিম হচ্ছেন আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রির একজন লিভিং লেজেন্ড। আমাদের ব্যার্থতা যে আমরা তাকে কাজে লাগাতে পারছি না।এতোদিন মোশারফ ভাই যে ধরনের কাজ করেছেন মানছি আমার এখানে এসে তিনি সেসব ধাঁচের গল্প বলেন নি। আপনি দেখেন আমি আর মোশারফ ভাই মিলে ‘আশ্রয়’ এর মতো প্রোডাকশন বানিয়েছি। যা সারা মহলে
যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। তিনি এই কাজ দিয়ে অভিনেতার বেস্ট এওয়ার্ড পুরুষ্কার জিতে নিয়েছেন। তারপর মুগ্ধ ব্যাকরন,সাইজ ডাজনট’স ম্যাটার,লুজারস এর মতো কাজ করে দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছেন। হ্যা এসব যদি এখন উলটো পথে হেঁটে থাকা হয়। তাহলে আমি বলবো আমি উলটো পথে হেঁটেই সফল।সারাজীবন এই পথেই হাঁটতে চাই।
৮. তাহসান খান এবং তিশা কেমেস্ট্রি আপনার গল্পে অন্যরকম একটা মাত্রা যোগ করে।তাদের দুজনকে নিয়ে আপনার আলাদা কোন ভাবনা থাকে নির্মানের সময়?
তাহসান খানের কথা আমি আলাদা করে বলতে চাই তাহসান খান এই সময়ের সবচেয়ে পরিণত অভিনেতা। আপনি সাম্প্রতিক কাজগুলো দেখলে বুঝবেন তিন/চার বছর আগের তাহসান খান আর বর্তমান তাহসান খানের কতটা তফাত। একটা সময় দর্শক তাহসান খান মানে বুঝতো রোমান্টিক নাটক। আরো সহজ ভাবে উদাহারন দিয়ে বললে বলা যায়, ‘আশ্রয়’ নাটকটি। সেখানে কি দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন অথচ সেটি কিন্তু মোটেও রোমান্টিক গড়নার কাজ নয়। এছাড়া ’আঙুলে আঙুল’ নাটকটি মনে রাখার মতো কাজ।
তিশা আপু আর তাহসান ভাইয়া দুজনে আমার কাছে সবসময় স্পেশাল একটা জুটি। তিশা আপুর কথা তো আর আলাদা করে বলতে হবে না।আমরা সবাই জানি সেটা। তিশা আপু বারবার প্রমাণ করে দিয়েছেন তার অভিনয়শৈলি দিয়ে।সুতরাং তাহসান খান এবং তিশা আপু দুজনেই ডিজার্ভ করেন তাদের নিয়ে বেস্ট কাজটাই হবে।
৯. আপনি যে সকল তরুনদের সুযোগ করে দিয়েছেন তারা ইতোমধ্যে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সফল।সে ক্ষেত্রে আপনি কি মনে করেন প্রত্যয় তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারবে?
বুঝতে পেরেছি আপনি আমাকে প্রশ্ন করে বিপদে ফেলতে চাচ্ছেন(হেসে উঠে) প্রশ্ন যখন করেছেন উত্তর দিচ্ছি। আমার খুব অদ্ভুত লাগে ইদানীং খুব বেশী প্রত্যয়কে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর আগেও তাকে নিয়ে দুটো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।আবার ও বলছি প্রত্যয়ের মাঝে আমি অনেক মানবিক গুন দেখেছি যেগুলো আমি মনে করি অন্য অনেকের মধ্যে থাকা উচিত। মাত্র এইচ এস সি পাশ করা একটি ছেলে যেভাবে করোনা পরিস্থিতে সবার জন্যে এগিয়ে আসল এটি সত্য মুগ্ধ করার মতো।আমাদের অনেক স্টারের মধ্যে এই জিনিসটা ইদানীং কালে দেখা যায় না। আবার অনেক স্টারের মধ্যে এই গুনটা আছে যেমন আমি নাম ধরে ধরে তাহসান খানের কথা বলতে পারি,মোশারফ করিমের কথা বলতে পারি। তিশা আপু আছেন যাদের আমি ব্যাক্তিগতভাবে দেখেছি।এদের মাঝে প্রত্যয় নতুন উঠে আসা একজন।আমি তো এমন স্টারই চাই যে মানুষের উপকার করবে। যে স্টার আমার দেশের ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দেবে এমন স্টার ই আমাদের দরকার।
প্রত্যয় অন্যদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে কি না নাকি হারিয়ে যাবে এই উত্তরটি ভবিষৎ এর জন্যে তুলে রাখলাম। সময় হলে নিশ্চয় দেখা যাবে। আমাদের দর্শকেরাই সবকিছু ঠিক করে দেবে।
১০. অভিযোগ উঠেছে ‘ভিউ বাবা’ নাটকে আপনি দেখিয়েছেন কন্টেন্ট ভালো কি খারাপ তা ভিউ নির্ধারন করে না। আবার আপনার এই নাটক ই বুস্ট করে ভিউ নিচ্ছে ব্যাপারটা কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন??
এই প্রশ্নটার ব্যাপারে একটি সহজ ভাষায় বলতে গেলে টেলিভিশন নাটক মুক্তির আগে প্রমো যায়। আমরা অনেকে জানি টেলিভিশন একটা প্রমোতে যে খরচ হয় ইউটিউব বুস্টিং তার সিকিভাগ ও খরচ করতে হয় না।যেমন ধরুন টেলিভিশনের যে স্লট যায় যেমন ৪০ সেকেন্ড ১ মিনিটের জন্যে এইগুলো এডভ্যাটাইজম্যান্টের জন্যে অনেক টাকায় বেঁচে।ওই স্লটেই তো প্রমো যায় তাই না? তার মানে হচ্ছে টেলিভিশনের প্রমো যে স্লটে যায় তার দাম অনেক বেশী।তুলনামূলক ফেইসবুকে বুস্টিং এর চাইতে বেশী না?কোন কোন টেলিভিশন স্লটে যেখানে প্রমো যায় সেখানে ১৫ হাজার থেকে শুরু ৫০ হাজার ৬০ হাজার টাকাও হইতে পারে। আর ফেইসবুক বুস্টিং এ হিসাব করলে কম না?
টিভিতে এত এত টাকা খরচ করে আমরা প্রমো করতে পারলে ইউটিউবে বুস্ট দিতে কোন সমস্যা দেখি না। আরেকটা জিনিস বলতে চাই আপনি অনেক কষ্ট করে যত্ন করে একটি কন্টেন্ট বানাবেন আপনি তো স্বাভাবিক ভাবে চাইবেন সবাই দেখুক।সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক। আরেকটি ব্যাপার ‘ভিউবাবা’ নাটকে আমি কখনোই বলি নি যে বুস্টিং করা খারাপ। ভালো কন্টেন্টের বুস্ট অবশ্যই ভালো। আর খারাপ ও ক্ষতিকর কন্টেন্টের বুস্ট অবশ্যই খারাপ।
আমি এ যাবতকালের সবচেয়ে হিট পরিচিত সিনেমার একটা নাম বলেছি যেমন ধরুন থ্রি ইডিয়টস সিনেমার কি পোস্টার হয় নি।তারা কি প্রমোশন করে নি কন্টেন্ট এর। অবশ্যই করেছে। সবাই তার তার তরিকায় কন্টেন্ট প্রমোশন করবে। পরিচালকদের কাজ জমা করে দেওয়ার পর কন্টেন্টের মালিক প্রোডিউসার। তারা তাদের কনটেন্ট সবার মাঝে পৌছে দিবে এটাই তো স্বাভাবিক।
আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি পেয়েছেন
১১. নেতিবাচক মন্তব্যকে কিভাবে দেখেন?
নেতিবাচক মন্তব্য কি হিসাবে দেখেছি তার চেয়ে বড় কথা নেতিবাচক মন্তব্যটি কোথায় আসছে। আমার কন্টেন্ট নিয়ে নেতিবাচক ও সমালোচনা কে সবসময় আমি গ্রহন করি। কোন মানুষ ই শতভাগ শুদ্ধ না। ভুল হবে ঠিক করবো এটিতো নিয়ম। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে ব্যাক্তির উপর নেতিবাচক মন্তব্য সহজ কথায় পারসোনাল এট্যাক আমরা লক্ষ্য করছি। এটা একধরনের ক্রাইম।কোন নাটক বা অভিনেতা ভালো না লাগলে কোন অধিকার ই নাই তাকে ইচ্ছামতো বুলিং করার। ব্যাক্তিগত আক্রমণ কেন করা হবে দিনশেষে আমরা সবাই মানুষ। আমাদের ও ফ্যামিলি আছে বাবা-মা আছেন তারা দেখছে।এখন তারা বলবে তারা দায়িত্ব থেকে এই কাজটি করছে। এখন আমার প্রশ্ন আমাদের বাসায় একবেলা বাজার না থাকলে কই কেউ তো একবেলা বাজার করে দিবে না।
আপনার মাধ্যমে আমি এটাও জানাতে চাচ্ছি ব্যাক্তিগত আক্রমন হলে আমি আর কাউকে ছাড়ছি না। ০.০০১% ব্যাক্তিগত আক্রমন করে কেউ বিদ্রূপত্নক কোন কিছু বললে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিবো। আমি মনে করি আমাদের সকলের উচিত তা করা। অনেকদিন সহ্য করেছি।
১২. আপনার সাফল্য কামনা করি।ধন্যবাদ আমাদের সময় দেয়ার জন্যে
আপনাকে ও ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ