অভিবাসী শ্রমিক বিতরণ বন্ধে জাতিসংঘকে চিঠি

বর্তমানে বিভিন্ন দেশ অভিবাসী শ্রমিকদের বিতারণের যে নীতি-পরিকল্পনা নিয়েছে তা যাতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বন্ধ করে, সে ব্যাপারে জাতিসংঘ মহাসচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করে চিঠি দিয়েছে ১৬টি সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত দেশের সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্র্যান্ডস।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের কাছে দেশে অভিবাসী ও অভিবাসন অধিকার নিয়ে কর্মরত ১৬ সংগঠন এই চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বৈধ কাগজপত্রবিহীন, তালিকাভুক্ত নয়, এমনকি যারা ঐ সব দেশের কারাগারে রয়েছে- এমন শ্রমিকদেরও এখনই ফেরত নেয়ার জন্য ঐ শ্রমিকদের নিজ নিজ দেশের উপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কয়েকটি দেশ আলাপ-আলোচনা ব্যতিরেকেই অনেক অভিবাসী শ্রমিককে নিজ নিজ দেশে জোরপূর্বক পাঠিয়ে দিয়েছে।
বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ওপরে এ ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে বলেও ঐ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের এমন এক বিপন্ন সময়ে যেখানে করোনা মোকাবেলা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে দেশগুলো এবং দেশে ফেরত প্রবাসীরা নিদারুণ কষ্টে রয়েছে। এমন সময় শ্রমিকদের এভাবে ফেরত পাঠানো আন্তর্জাতিক আইন বর্হিভূত বলেও ঐ চিঠিতে উল্লেখ করেছে।
সংস্থাটির পক্ষে এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিআর আবরার এবং কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক ঐ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। তারা বলেছেন, এ ধরনের কর্মকান্ড করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তুলবে।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড, একে আব্দুল মোমেন সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত মধ্যপ্রাচের ১১টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে এক বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশী শ্রমিকরা যাতে আগের চাকরিতে বহাল হতে পারেন সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় নীতি-পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।